Realme C75 Price in BD - রিয়েলমি সি ৭৫ দাম কত ফিচার ও বিভিন্ন তথ্য
প্রিয় পাঠক, বর্তমানে বাংলাদেশের মোস্ট হাইব্রিড ডিভাইস রিয়েলমি সি সেভেন্টি ফাইভ (Realme C75)। এই ডিভাইসটির স্পেশালিটি দেখেই কী কিনে ফেলবেন? আসলে একটা ফোনের স্পেশালিটি দেখেই বিচার করা যায় না তাই না? এটার পারফরম্যান্সের কী অবস্থা? ক্যামেরার কি অবস্থা? ব্যাটারি, দাম ঠিক আছে কি না এগুলা দেখতে হবে। এইগুলা জানতে হলে, কী করতে হবে।
এই পোষ্ট টি পুরোটা ভালোভাবে পড়তে হবে। তারপর আপনি আপনার ডিসিশন মেইক করেন। ওইগুলা দেখে লাফ দিতে পারেন না। আর কেনার জন্য পাগল হইয়া যাইয়েন না। এই আর্টিকেল টি হচ্ছে Realme C75 রিভিউ রিলেটেড আর্টিকেল। এ আর্টিকেলে সম্পূর্ন বর্ণনা করা হয়েছে Realme C75 এই ফোন টি নিয়ে।
.
রিয়েলমি সি ৭৫ দাম ও ফিচার Realme C75 Price Or Feature
Realme C75 বাংলাদেশের মার্কেটে লঞ্চ করা হয়েছে দুইটা ভ্যারিয়েন্টে 8/256/ & 8/128 জিবি। এই ভেরিয়েন্টের দাম হলো গিয়ে 19,999 টাকা। পরবর্তী ভ্যারিয়েন্ট 22 হাজার নয়শ নিরানব্বই টাকা। এখন এই ডিভাইসটা যদি দেখতে যাই, বর্তমান সময়ের স্মার্টফোনগুলোর মতোই ডিজাইন প্রায় অলমোস্ট সিমিলার। রিয়ার প্যানেল টাতে আমরা গ্লাসের মত একটা কিছু দেখব।
এটা যদিও গ্লাস না প্লাস্টিকের বা ফ্রস্টেড হওয়াতে এটার উপরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পড়লেও খুব একটা দেখা যায় না। আর জিনিসটা ধরতেও ভাল লাগতেছে। বডি ফ্রেমটা প্লাস্টিকে তৈরি, যেখানে আমরা দেখছি যে আমাদের হাতে যে কালার ভেরিয়েন্ট রয়েছে এটা বেশ সুন্দর। গোল্ডেন কালার দেওয়া হয়েছে।
রিয়েলমি সি ৭৫ সংক্ষিপ্ত বিবরণ (Quick Overview)
- মডেল: Realme C75
- প্রসেসর: MediaTek Helio G99
- RAM/Storage: 8GB RAM + 128GB / 256GB
- ডিসপ্লে: 6.72" IPS LCD, 90Hz, 690 nits
- ক্যামেরা: 50MP রিয়ার + 8MP ফ্রন্ট
- ব্যাটারি: 6000mAh, 45W ফাস্ট চার্জ
- দাম (বাংলাদেশ): ৳19,999 (128GB), ৳22,999 (256GB)
রিয়েলমি সি ৭৫ ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি
Realme C75 দেখতে আধুনিক ও প্রিমিয়াম। ফোনের রিয়ার প্যানেল দেখতে গ্লাসের মতো, যদিও এটি আসলে ফ্রস্টেড প্লাস্টিক। এতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পড়ে, তবে খুব একটা বোঝা যায় না।
ফোনটি দুটি কালারে আসে – গোল্ড ও ব্ল্যাক। আমাদের হাতে ছিল গোল্ড ভ্যারিয়েন্ট, যা দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
- ক্যামেরা মডিউল দেখলে মনে হবে তিনটি ক্যামেরা রয়েছে, কিন্তু আসলে আছে ২টি ক্যামেরা ও একটি সেকেন্ডারি সেন্সর (মাইক/ডামি)।
- সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর হাতের নাগালে এবং পারফেক্টলি রেসপন্সিভ।
রিয়েলমি সি ৭৫ IP রেটিং ও ডিউরেবিলিটি টেস্ট
এই ফোনে রয়েছে IP68/IP69 রেটিং, যা একে ওয়াটারপ্রুফ ও ডাস্টপ্রুফ করে তোলে।
আমরা কক্সবাজারে জেট-স্কির সাথে বেঁধে পানির নিচে টেস্ট করি—কোনো সমস্যা হয়নি।
তবে গভীর পানির চাপে সতর্ক থাকতে হবে।
রিয়েলমি সি ৭৫ ডিসপ্লে: রিফ্রেশ রেট ও ব্রাইটনেস
- সাইজ: 6.72 ইঞ্চি
- প্যানেল: IPS LCD
- রিফ্রেশ রেট: 90Hz
- ব্রাইটনেস: 690 nits
এই প্রাইস রেঞ্জে AMOLED না থাকলেও ডিসপ্লেটি ভালো মানের। ইন্ডোরে পারফেক্ট, আউটডোরে ব্রাইটনেস একটু কম মনে হতে পারে।
পজিটিভ:
- কালার রিপ্রোডাকশন ভালো
- 90Hz রিফ্রেশ রেট সঠিকভাবে কাজ করে
নেগেটিভ:
- AMOLED না হওয়া
- 120Hz না থাকা
রিয়েলমি সি ৭৫ ক্যামেরা পারফরম্যান্স
- রিয়ার ক্যামেরা: 50MP + 2MP সাপোর্ট সেন্সর
- ফ্রন্ট ক্যামেরা: 8MP
Daylight Performance:
ভালো লাইটিংয়ে ছবির ডিটেইল ও কালার শার্প। তবে ডায়নামিক রেঞ্জে কিছুটা ঘাটতি আছে।
Low Light Performance:
- নাইট মোডে সময় বেশি নেয়, তবে ছবি শার্প আসে।
- Portrait মোডে 2x অপশন না থাকায় একটু মিসিং ফিল আসে।
Selfie:
ওয়ার্ম টোনে স্কিন প্রেজেন্ট করে, যা কিছু ব্যবহারকারীর পছন্দ হতে পারে। ইন্ডোরে কিছুটা গ্রেইন দেখা যায়।
ভিডিও রেকর্ডিং: সর্বোচ্চ 1080p @30fps
- পারফরম্যান্স ও UI এক্সপেরিয়েন্স
- চিপসেট: MediaTek Helio G99
- অপারেটিং সিস্টেম: Android 14, Realme UI
- RAM/Storage: 8/128GB বা 8/256GB
মাল্টিটাস্কিং, অ্যাপ সুইচিং, ও র্যাম ম্যানেজমেন্ট খুবই ভালো।
বেসিক গেমিং যেমন Free Fire বা Subway Surfers খেলতে পারবেন।
গেমিং এক্সপেরিয়েন্স:
- Low Setting-এ Free Fire চলে
- লং টার্মে হিটিং ইস্যু দেখা দেয়
- ব্যাটারি ও চার্জিং
- ব্যাটারি: 6000mAh
- চার্জিং: 45W ফাস্ট চার্জার ইনবক্স
এই ব্যাটারি দিয়ে একদিনের বেশি ব্যাকআপ পাওয়া যায়। আমরা হেভি ইউজ করে ৮.৫ ঘণ্টার স্ক্রিন অন টাইম পেয়েছি।
- সাউন্ড ও কানেক্টিভিটি
- ডুয়াল স্পিকার: লাউড ও ক্লিয়ার
- হেডফোন জ্যাক: রয়েছে
- নেটওয়ার্ক রিসিপশন: ভালো, কোন সমস্যা হয়নি
প্রোস ও কনস ভালো দিক:
- শক্তপোক্ত ডিজাইন ও IP69 রেটিং
- 6000mAh ব্যাটারি + 45W চার্জার
- Realme UI এক্সপেরিয়েন্স
- ভালো ক্যামেরা (ডে-টাইম)
খারাপ দিক:
- AMOLED না থাকা
- 120Hz রিফ্রেশ রেট অনুপস্থিত
- গেমিং এক্সপেরিয়েন্স মিডিওকার
- নাইট মোডে শাটার ডিলে
FAQ
Realme C75-এ AMOLED ডিসপ্লে আছে কি?
না, এখানে IPS LCD ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ফোনটি কি ওয়াটারপ্রুফ?
হ্যাঁ, IP69 রেটিংসহ পানিতে পরীক্ষিত হয়েছে।
Free Fire খেলা যাবে?
হ্যাঁ, Low Setting-এ খেলা যায়, তবে দীর্ঘ সময় খেললে হিট হতে পারে।
ব্যাটারি ব্যাকআপ কত?
হেভি ইউজে ৮.৫ ঘণ্টা স্ক্রিন অন টাইম পাওয়া গেছে।
Realme C75 Price in BD - লেখকের শেষ মন্তব্য
Realme C75 এমন একটি স্মার্টফোন যা অনেকগুলো দরকারি ফিচার একসাথে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
যারা মোবাইল ফোন কিনতে চান যার ব্যাটারি লম্বা সময় চলবে, পানি বা ধুলাবালি থেকে সুরক্ষিত থাকবে এবং ডেইলি ইউজে ভালো পারফর্ম করবে — তাদের জন্য এটি ভালো একটি অপশন।
তবে আপনি যদি গেমিং হেভি ইউজার হন বা AMOLED ডিসপ্লে চান, তাহলে আরও কিছু বাড়তি বাজেটে অন্য মডেল দেখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এরকম করে আরো মোবাইল বা অন্য ডিভাইস রিলেটেড রিভিউ পেতে হলে আমাদের ওয়েবসাটে যুক্ত থাকুন। এবং কমেন্ট করে যানাবেন আপনার কি রিলেটেড আর্টিকেল প্রয়োজন ধন্যবাদ।
রিয়েলমি সি ৭৫ দাম কত ফিচার ও বিভিন্ন তথ্য - অতিরিক্ত অংশ
বর্তমানে বাংলাদেশের মোস্ট হাইব্রিড ডিভাইস রিয়েলমি সি সেভেন্টি ফাইভ। এই ডিভাইসটির স্পেশালিটি পার্টে ঢোকে না মানে কোনোভাবেই ঢোকে না এমনটা আমরা দেখলাম। শুধু কি তাই? তাই দেখেই আপনি কিনবেন। ওটা তো আসলে একটা ফোনের সবকিছু বিচার করা যায় না ওটা দেখে, তাই না? এটার পারফরম্যান্সের কী অবস্থা? ক্যামেরার? দাম ঠিক আছে কি না এগুলা দেখতে হবে।
কী করতে হবে, সামনের ভিডিও পুরোটা দেখতে হবে। তারপর আপনি আপনার ডিসিশন মেইক করেন। ওইগুলা দেখে লাফ দিতে পারেন না। আর কেনার জন্য পাগল হইয়া যাইয়েন না। Realme C75 বাংলাদেশের মার্কেটে লঞ্চ করা হয়েছে দুইটা ভ্যারিয়েন্টে 8/256/ & 8/128 জিবি। এই ভেরিয়েন্টের দাম হলো গিয়ে 19,999 টাকা। পরবর্তী ভ্যারিয়েন্ট 22 হাজার নয়শ নিরানব্বই টাকা।
এখন এই ডিভাইসটা যদি দেখতে যাই, বর্তমান সময়ের স্মার্টফোনগুলোর মতোই ডিজাইন প্রায় অলমোস্ট সিমিলার। রিয়ার প্যানেল টাতে আমরা গ্লাসের মত একটা কিছু দেখব। এটা যদিও গ্লাস না প্লাস্টিকের বা ফ্রস্টেড হওয়াতে এটার উপরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পড়লেও খুব একটা দেখা যায় না। আর জিনিসটা ধরতেও ভাল লাগতেছে।
বডি ফ্রেমটা প্লাস্টিকে তৈরি, যেখানে আমরা দেখছি যে আমাদের হাতে যে কালার ভেরিয়েন্ট রয়েছে এটা বেশ সুন্দর। গোল্ডেন কালার দেওয়া হয়েছে। আর কি দেখতে ভাল লাগতেছে? ক্যামেরা মডিউল টা দেখলে আপনার মনে হবে তিন তিনটা ক্যামেরা এবং আসলে দুইটা ক্যামেরা আছে। এখানে প্লাস সেকেন্ডারি নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন মাইকটা আছে এই সাইটটিতে।
কিন্তু হেডফোন জ্যাক টার কি নেই? রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যা সাইড মাউন্টেড পজিশন আমার হাত অনুযায়ী ঠিকঠাক আছে। এটা প্রত্যেক বারই পারফেক্টলি রিড করতে পারছে। রাতের বেলায় এই ফোন মোটামুটি ভালোই শক্তপোক্ত ও ডিউরেবল হবে বলে আশা করছি। একবার টেস্ট করেই দেখা যাক। খারাপ না।
এছাড়াও এটা কিন্তু আইপি সিক্সটি এইট সিক্সটি নাইন রেটিং রয়েছে এবং আমরা উরাধুরা একটা টেস্ট করছিলাম এটাতে। কারণ এর আগে আমার আইপি সিক্সটি নাইন এর রেটিং টেস্ট করা হয়নি। যেহেতু এটার মধ্য দিয়ে একটা চান্স পেয়ে গেছি এবং স্পেশাল একটা টেস্ট দিয়ে দিছি। আমরা যেটা করছিলাম, যখন কক্সবাজারে গেলাম এই ফোনটাও নিয়ে গেলাম।
এবং এইটাকে জেট স্কি এর সাথে বেঁধে পানিতে ফেলে আমরা বেশ কিছুক্ষণ জেট স্কি চালালাম এবং পানিতে কিছুই হয় নাই এই জিনিস। এটা সত্যি কথা যে হেভি পানির ফোর্সে এটার মাঝে পানি ঢোকার কোন Possibility নেই। একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন, যদি পানির গভীরে নিয়ে যান তখন পানির প্রেশার আরও অনেক বেড়ে যাবে।
সে ক্ষেত্রে কিন্তু একটা টাইমের পরে পানি ঢুকলেও ঢুকতে পারে। কিন্তু নরমালি রেগুলার ইউজ হইছে। হঠাৎ করে ধরুন বৃষ্টি নেমে গেল। হেভি ফোর্সের পানি লেগে গেল No pblm। অনলাইন ঘাটিয়ে দেখলাম এটাতে নাকি মিলিটারি স্ট্যান্ডার্ড এইটিন এইচডিআর সার্টিফিকেশন রয়েছে। যেটা তো বেশ শক্তপোক্ত হওয়ারই কথা।
বাট এইটা একদম শিওর না যে ঐ রাগড টাইপের প্রেশার নিতে পারবে কিনা। সে যাই হোক, এটার ওজন হল গিয়ে একশ ছিয়ানব্বই গ্রাম এর মত। ওয়েট মোটামুটি ওকে ওয়েট ব্যালেন্সড। একদম পারফেক্ট হয় নাই। সামনের দিকটা একটু বেশি ভারী । ফোনের ডিসপ্লে সাইজ হল সিক্স পয়েন্ট সেভেন টু ইঞ্চ আইপিএস এলসিডি প্যানেল যেখানে নাইনটি হার্টজ রিফ্রেশ রেট রয়েছে।
এবং 690 নিটস ব্রাইটনেস রয়েছে এখানে। তো এই প্রাইস পয়েন্টে এসে হলেও আমরা আশা করি অ্যামোলেড জাতীয় কিছু। অথবা এইটা সাথে যদি 120 হার্টজ থাকত তাহলে বোধহয় আরও বেটার ডিল হতে পারত। এইটার যে আইপিএস টা এটা খারাপ না। এটা মোটামুটি ভালই। লোয়ার সিনটা আরেকটু ন্যারো থাকলে তো দেখতে ভাল লাগত।
আর এর যে কাটআউট আছে এইটা টপ সেন্টার এ। এইটার সাইজটা মোটামুটি ওকে আছে। আইপিএস গুলোতে আমরা এমনটাই দেখি। প্লাস এটার কাছ থেকে দেখলেও খুব একটা। আপনি ঐ Shadow ইস্যুটা লক্ষ করবেন নাকি ব্রাইটনেস একটু কম মনে হয়েছে? ইনডোরের জন্য পারফেক্ট। বাট আউটডোরে Direct লাইটে আপনার কাছে মনে হবে আরেকটু ব্রাইট হলে ভালো হতো।
বিশেষ করে যখন কিনা আপনি এই ফোনটা দিয়ে ছবি তুলতে যাবেন, তখন কি আপনার মনে হবে এটা একটু স্ট্রাগল করছে? টাচ রেসপন্স ভালো। নাইন্টি হার্টজ দেখলাম ঠিকভাবে পুশ করছে। এমনকি আমরা ইউএফও টেস্ট দিয়ে দেখছিলাম। সেখানেও দেখলাম এটা ঠিকভাবে পুশ করছে আর কি। আর এই ডিসপ্লে এটাকে প্রদর্শন করছে।
আর মার্সেল গ্লাস এইটা শক্তপোক্ত কতটুকু আসলে আমি শিওর না। তবে যত্নশীল হওয়াই উচিত। এখন এইটার দাম যদি বলি বিশ হাজার টাকা, ওই প্রাইস পয়েন্টে এসে আইপিএস নিয়ে আমি কমপ্লেন করছি না। ওকে ঠিক আছে বাট 1020 হার্টজ নিয়ে কমপ্লেইন থাকলো। আর যখন কিনা এটার হাইয়েস্ট ভ্যারিয়েন্ট তেইশ হাজার টাকা তখন আইপিএস টা একটু বেমানান লাগছে।
বা আমি বলব ওই ভ্যারিয়েন্টের দাম একটু বেশিই হয়ে গেছে। আসলে আরেকটু কম। দুইটা ভ্যারিয়েন্ট, একটু কম দাম থাকলে পরে ডিসপ্লে নিয়ে আসলে কমপ্লেইন হয়তো থাকতো না। এখন একটা সুবিধা আছে। কি এই ফোনটা কেনার পরে আপনি গ্রিনলাইনের মালিক হচ্ছেন না, এইটা একটা সুবিধা আরকি।
আচ্ছা সে যাই হোক না কেনো, নতুন প্রসেসর রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি নাইন্টি টু ম্যাক্স একদম লেটেস্ট কিছু। এবং এটা আমার হাতে প্রথম স্মার্টফোন। এই প্রসেসর যুক্ত রান করছে রিয়েলমি। ওয়াই ফাই পয়েন্ট ও বেসড অ্যান্ড্রয়েড ফোরটিন। আর এটাতে কিন্তু র্যাম আছে। ওই যে বললাম আরজিবি এবং স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে টুয়েন্টি সিক্স এবং ওয়ান টুয়েন্টি এইট।
এমনিতে রিয়েলমির ইউআই কিন্তু বেশ ডিসেন্ট একটা জায়গায় থাকে। বলতে পারেন অ্যান্ড্রয়েডের মধ্যে এবং কোন ঝামেলা নেই। বাঘ, ভাল্লুক, হাতি, ঘোড়ার দেখাও খুবই কম পাওয়া যায়। বাট বেশ কিছু মাগনা ব্লু টায়ার পাওয়া যায় যা এই ডিভাইসে আছে।
মোড অ্যাপ মাস্ট প্লে হোয়াট অ্যাপস, গেমস । আরও অনেক কিছু আছে এখানে যেগুলো আপনার প্রয়োজন হবে না ভাই জাস্ট Uninstall করে ফেলবেন। সেক্ষেত্রে এর ইউআই থেকে একটা ক্লিন ভাইব আসবে। এমনকি ফোনের উপরে প্রেশারটা কম দিবে এবং সেটাই করা উচিত হবে। মিডিয়াটেক হেলিও G নাইন্টিন নাইন আর মিডিয়াটেক হেলিও G নাইন্টিন টু এর মাঝে একটা বিস্তর তফাৎ আছে।
কিন্তু যদি বলেন কে এগিয়ে আছে? অবশ্যই G নাইন্টিন নাইন এগিয়ে আছে। আর এটাকে আপনি বলতে পারেন যে প্রিভিয়াস জেনারেশন যেগুলো ছিল G এইটি এইট বা এর পরের যে ভার্সনগুলো তার থেকে এটা কিঞ্চিৎ এগিয়ে আছে। লেটেস্ট এসওসি বাট এইটা আবার টুয়েলভ নামের যে জায়গায় আবার কিঞ্চিত পিছিয়ে আছে, একটু বেশি ব্যাটারি কনজিউম করবে আরকি।
তবে রেগুলার টাস্কিং রিয়েলমি ইউআই এর সাথে জিনেটিক নাইন যুক্ত। যদি রিয়েলমি অন্য ডিভাইসের সাথে আমি কম্পেয়ার করি তাহলে কিন্তু এই ডিভাইসের পারফরমেন্স আলাদা করা মুশকিল হয়েছে। মানে ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে যেমন অ্যাপ থেকে অ্যাপে সুইচ করছেন, আপনি একসাথে বেশ কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কাজ করছেন। মাল্টিটাস্কিং এর কথা বলছিলাম।
র্যাম ম্যানেজমেন্ট এর কথা বলছিলাম। সেই জায়গা গুলো কিন্তু মোটামুটি ঠিকঠাক ভাবে হ্যান্ডেল করতে পারছে। এবং আপনার কাছে মনে হবে ওকে ফাইন। আমি জেনেটিক নাইনের মতোই রেজাল্ট পাচ্ছি। আপনি গেমিং এ কিন্তু তেমন রেজাল্ট পাবেন না। গেমিং এর ক্ষেত্রে আপনি বুঝতে পারবেন G নাইন্টিন এর চাইতে এগিয়ে আছে।
অবশ্যই আমি মনে করি বেসিক গেমিং এর জন্য এর পারফরমেন্স মোটামুটি ঠিকঠাকই আছে। তবে আপনি যদি গেমিং এর জন্যই এরকম প্রাইজ পয়েন্ট থেকেই ডিভাইস নিতে চান, তাহলে আমি বলব এর চাইতে বেটার প্রসেসর জিনিসটি নাইন যুক্ত ডিভাইসে আপনি অ্যাভেলেবল পেয়ে যাবেন। সেগুলো নিলে বরং আপনার জন্য ভালো।
আর এটা থেকে হ্যাঁ Free Fire ও খেলা যায়। লোয়ার সেটিংসে খেললে মোটামুটি একটা ফ্লেক্সিবল রেজাল্ট পাওয়া যায়। বাট লং টার্মে এটা মোটামুটি ভালোই হিট জেনারেট করছিল। কিন্তু এই যে দেখুন, তেইশ হাজার টাকায় এসে যখন আপনি এই প্রস্তাবটা পাবেন তখন আপনার কাছে একটু ছোটই মনে হবে। সেই জায়গায় কিন্তু এটা পিছিয়েই পড়ে।
Camera রিয়ারে পঞ্চাশ মেগাপিক্সেল মেইন, সেইসাথে আরও একটা সহকারী সেন্সর রয়েছে দুই ই আর ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা থাকছে এইট মেগাপিক্সেলের শুটার। একদম রিয়েলমির ফোনগুলো খুব সুন্দরভাবে দেখাচ্ছিল। কালার টোনটা ভাল লাগবে। আপনাদের কাছে একটু আইএসও টাইপের কালার দিচ্ছে। একটু ভাইব্রেন্ট, ভিভিড টাইপের।
দেখতে সুন্দর লাগে। প্রোপার লাইটিং কন্ডিশনের ছবিতে শার্পনেস ডিটেল অন পয়েন্টেই আছে বলা যায়। তবে ডায়নামিক রেঞ্জ এ আরেকটু ওয়াইড হওয়া উচিত ছিল। আরেকটু বেটার রেজাল্ট আশা করছিলাম আমি। এমনকি হেভি এক্সপোজার জায়গাগুলোতে ক্যালকুলেশন করতে গিয়ে এটা একটু হিমশিম খেয়ে যায়। সেটা হয়তো আপনি কয়েকটা ছবি দেখলেই টের পাবেন।
But পারফেক্ট যেখানে লাইটিং কন্ডিশন ঠিকঠাক আছে সেখান থেকে কিন্তু খুব সহজেই উজ্জ্বল ফুটেজ বের করা সম্ভব। Low লাইটে বা একটু শ্যাডোর দিকে আপনি ছবিতে ততটা ডিটেইল পাবেন না। ইভেন একটু সফট করে প্লাস গ্রেডের দেখাও পাওয়া যায়। lOW লাইট এরিয়াতে বা রাতে আপনি অবশ্যই নাইট মোড ব্যবহার করার মতো সুবিধা তো পাচ্ছেন।
নাইট মোড অন করে নিলে যেটা হয়, আপনাকে একটু বেশ ভালোই টাইম দিতে হবে। মানে শাটার স্লো হয়ে যায়। তো সে ক্ষেত্রে যদি স্টেডি ভাবে তুলতে পারেন তখন কিন্তু উজ্জ্বল ছবি বের করা সম্ভব হয়। ছবিগুলো তখন মোটামুটি শার্প লাগে এবং একটু কন্ট্রাস্ট করে প্রেজেন্ট করে। দেখতে ভালোই লাগে। ওদের শাটার একটু ডিলে আছে, ইভেন ডি লাইটও দেখসিলাম।
এটা শাটার একটু ডিলে দেয়। আরেকটু ফাস্ট করা উচিত ছিল। আশা করছি এই বিষয়গুলো ফিক্স এবং আপডেটের মাধ্যমে এগুলো চাইলে হয়তো ফিক্স করতে পারবে। পোর্ট্রেট মোড পাবেন। তবে পোর্ট্রেট মুডে টু এক্সের অপশনটা নেই। ওটা আমি মিস করছি। ওটা থাকলে আরো সুন্দর ছবি পাওয়া যেত। শিওর। তো যেটা হয় এর ডিরেকশন বেশ ভালোই।
কালার টোনটা একটু গরমের দিকে নিয়ে প্রেজেন্ট করে। স্কিনটা আরকি। বিশেষ করে দেখতে খারাপ লাগে না। ভালোই লাগতেছে। তবে আমি মিস করতেছি এটাই। একটু ক্রিটিকাল জায়গাগুলোতে মিসম্যাচ পেয়েছি ওকে। ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরাটা হচ্ছে কি এইটটি মেগাপিক্সেল। এটাতেও একটা হালকা ওয়ার্ম টোন। আপনি লক্ষ্য করবেন একটু ওয়ার্ম স্কিন দেয়।
দেখতে খারাপ লাগছে না। এখানেও এইটার ডায়নামিক রেঞ্জ। হ্যান্ডেলটা ওই রিয়ার ক্যামেরার মতোই মনে হয়েছে। এবং আউটডোরে আমরা শার্পনেস ডিটেল ভালো পেলেও ইনডোরের দিকে ততটা ছিল না। কিন্তু এক্ষেত্রেও এমনকি একটু লাইটের গ্রেন ও এনেছিল। এর ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা কিছুটা সফট করেও প্রেজেন্ট করে অ্যাজ ইউজুয়াল।
অনন্য এই বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোনগুলোর মতোই ভিডিও রেকর্ড করা যায় সর্বোচ্চ থাউজেন্ড এটিপি থারটি এফপিএস এ। এই ভিডিওতে আসলে ইমপ্রুভমেন্ট এর জায়গা ছিল। আমার মনে হয় বেশ ভালোই। ২৩ হাজার দিয়ে যদি কেনেন তাহলে আপনার কাছে মনে হবে ভিডিওর জন্য এই জিনিসটা আসলেই হলো না। আরও বেটার কিছু দেওয়ার দরকার ছিল রিয়েলমির।
এখানে ডুয়াল স্পিকার আছে। সাউন্ড কোয়ালিটি সত্যিই বেশ ভালো। বেশ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। এটার সাউন্ড যদিও একটু বেশি, এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হয়ে গেছে কম বাজেটের ফোনের জন্য। তবে ক্লিয়ার সাউন্ড পাওয়া যায়। আমি আমারই ডিভাইস থেকে ফুল ভলিউমে ডিস্ট্রাকশন পাইনি। কথা বলে মজা পাবেন এই ডিভাইসে।
কারণ এটা রেয়ার পেজ এর সাউন্ডওভার ভালো আছে নেটওয়ার্ক রিসিপশনে কোনো সমস্যা নেই। Both কানেকশনে সে জায়গাও ঠিকঠাক পেয়েছি। তবে যে জায়গা আপনাকে আরও বেশি সারপ্রাইজড করবে, এই পাতলা ফোনটার মাঝেই কিন্তু ছয় হাজার এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে এবং ফোর্টি ফাইভ ওয়াটের চার্জিং সিস্টেম রয়েছে এর বক্সেই।
এই Combo টা কিন্তু স্ট্যান্ডার্ড যখন কিনা আপনি টুয়েন্টি কে প্রাইস পয়েন্টে কিনছেন। এই ডিভাইসটা স্ট্যান্ডার্ড এর চাইতেও একটু উপরে দেয়। ব্যাটারিটা। আমাদের এই যে হেভি ইউজেস বা টেস্টিং পিরিয়ডে আমরা দেখছিলাম এটা সাড়ে আট ঘণ্টার মতো এস এ ডি দিচ্ছে, যেটা মোটেই কম না। এক দিন প্লাস টাইম এই ডিভাইস আপনি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন।
আমি যতটুকু জানি এই ডিভাইসটা গোল্ড অ্যান্ড ব্ল্যাক কালার ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। আমাদের হাতে এটা অবশ্যই গোল্ড। এটার বোধহয় ব্লাক কালার ভ্যারিয়েন্ট আরেকটা পাওয়া যায়। তো ওটাও চাইলে দেখতে পারেন। তো আমি শুরুতে যেটা বলছিলাম, একটা ফোন আপনি জাস্ট পানি ঢুকে না। এটা দেখে আপনি কিনে ফেলবেন না।
আরও বেশ কিছু বিষয় আছে। যেমন দেখুন, এই যে এরকম প্রাইস পয়েন্টে এসে আপনি যদি একটা গেমিং এর জন্য ডিভাইস চয়েজ করতে চান, তাহলে এইটা আপনাকে মোটেই আমি রিকমেন্ড করছি না বা সাজেশন দিচ্ছি না নেওয়ার জন্য। আপনার যদি অ্যামোলেড ডিসপ্লে যুক্ত ফোনেই দরকার হয়, যেটার ডিসপ্লের কালার রিপ্রোডাকশন আরও বেশি ভালো লাগে,
তাহলেও কিন্তু এটি আপনার জন্য না। এটি তাদের জন্য যারা রাফ অ্যান্ড টাফ ইউজার যাদের পানির নিচে ঢোকার একটা পসিবিলিটি থাকতে পারে। একটা ভয় আছে, দীর্ঘদিন একটা ডিভাইস একটু ওইভাবে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। তারা চয়েজ করতে পারেন। যারা ডিসেন্ট পারফর্মেন্স চান না, আমি হেভি গেমিং করব না। বাট আমার ইউআই থেকে একটা স্মুদ রেজাল্ট চাচ্ছি।
তাতেই আমি সন্তুষ্ট আছি। রেগুলার পারফর্মেন্স ভালো হলে চলবে এবং র্যাম ম্যানেজমেন্ট একটু ভালো হওয়া চাই তাদের জন্য। ঠিক আছে মেইন ক্যামেরাটা প্রোপার লাইটিং কন্ডিশনে ঠিকঠাক লাইটিং। একটা ভালো ছবি দিলে আমি খুশি। তারা এটা দেখতে পারেন। এখন আশা করছি আপনারা ক্লিয়ার। এই ফোন কাদের জন্য, কাদের জন্য না।
লেখকের শেষ মন্তব্য
Realme C75 রিয়েলমি সি ৭৫ এমন একটি স্মার্টফোন যা বাজেটের মধ্যে আধুনিক ফিচার খুঁজছেন এমন ব্যবহারকারীদের জন্য একেবারে আদর্শ আকর্ষণীয় ডিজাইন। বড় ডিসপ্লে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং স্মার্ট পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে এটি দারুণ একটি প্যাকেজ। বিশেষ করে যারা নিত্যদিনের কাজের জন্য নির্ভরযোগ্য ও স্টাইলিশ ফোন চান।
তাদের জন্য রিয়েলমি সি ৭৫ হতে পারে একটি চমৎকার পছন্দ। তবে ক্রয়ের আগে সর্বশেষ দাম ও অফারগুলো যাচাই করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আশা করছি, এই লেখাটি আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে।
এই ওয়েবসাইটের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url